Education

বাংলাদেশ ম্যাপ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বাংলাদেশ ম্যাপ ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে আজকের পোস্ট। এই দেশের পূর্বনাম বঙ্গ-দ্রাবিড়। এর আরও কয়েকটি পূর্বের নাম বাঙ্গালা, পূর্ব বাংলা, পূর্ব পাকিস্তান। এছাড়াও ভৌগলিকভাবে এর কয়েকটি উপনাম আছে এর মধ্যে অন্যতম নদীমাতৃক দেশ, ভাটির দেশ, নিরব খনির দেশ, সোনালি আঁশের দেশ। বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ।

এই দেশের নাগরিক হিসেবে এই দেশের মানচিত্রসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের নখদর্পনে থাকা উচিত। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন আসে। এই আয়োজনে বিভিন্ন সূত্র থেকে মৌলিক ইনফরমেশনগুলো সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হলো।

বাংলাদেশ ম্যাপ

বাংলাদেশের মৌলিক ম্যাপ মানে হলো প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত মানচিত্র। যেখানে আয়তন, চারপাশের দেশ ও স্থানের অবস্থান, সীমারেখা, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাসমূহের সীমা রেখা সুন্দরভাবে চিত্রিত করা আছে।

নিচের ছবিতে বাংলাদেশর মৌলিক ম্যাপ বা মানচিত্রের ছবি দেওয়ার হল।

বাংলাদেশ ম্যাপ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

৯০° পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা: এশিয়ার মধ্যভাগ তথা ঢাকা শহরের উপর দিয়ে কল্পিত দ্রাঘিমা রেখা যেহেতু মূল দ্রাঘিমা বা গ্রীনিচ রেখার সাথে দ্রাঘিমা পার্থক্য ০০-৯০০=৯০০ বাংলাদেশের প্রমাণ সময় : GMT+৬ ঘণ্টা। ১০ দ্রাঘিমা পার্থক্য= ৪ মিনিট ৯০০ দ্রাঘিমা পার্থক্য= ৩৬০ মিনিট= ৬ ঘণ্টা ।

বাংলাদেশের আয়তন

১, ৪৭, ৫৭০ বর্গকিমি. বা ৫৬,৯৭৬ বর্গমাইল। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০ তম। বাংলা এ পর্যন্ত ২বার বিভক্ত হয়। যথা- প্রথম ১৯০৫ সালে (বঙ্গভঙ্গের ফলে), দ্বিতীয় ১৯৪৭ সালে (ভারত বিভাগের ফলে)।

দেশের প্রথম মহিলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট শেরে বাংলা নগরে। দেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল বা ২২.২২ কিমি. (১ নটিক্যাল মাইল= ১.১৫ মাইল বা ১.৮৫৩ কিমি.)।

দেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০.৪ কিমি.। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের সংখ্যা ৫৭টি। বাংলদেশে বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনের সংখ্যা ৪৩টি।

আরও পড়ুনঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাব রক্ষণ পদ্ধতি নির্দেশিকা ১৯৮৪

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

নাম:কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার (Central Shaheed Minar)
অবস্থান:ঢাকা মেডিকেল কলেজ
স্থপতি/নকশাকারী:হামিদুর রহমান
১ম ভিত্তিপ্রস্তর:২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
উদ্বোধন করেন:শহিদ শফিউর রহমানের পিতা
উদ্বোধন এর সময়:২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ 

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিসৌধ। এটি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক।

শহীদ মিনারের স্থপতি হলেন হামিদুর রহমান। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মিনারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমানের হাতে এর উদ্বোধন হয়।

শহীদ মিনারটি ১৪ মিটার উঁচু। এর নকশা আধুনিক স্থাপত্যের আদলে করা হয়েছে। মিনারের শীর্ষে রয়েছে একটি লাল বৃত্ত। বৃত্তের চারপাশে রয়েছে চারটি স্তম্ভ। স্তম্ভগুলোর মাঝে রয়েছে পাঁচটি চতুর্ভুজাকার ফাঁকা অংশ।

প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

এবার বাংলাদেশ ম্যাপে আয়োজনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবো। মনযোগ সহকারে পড়ুন।

নাম:বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
ডিজাইনার: কামরুল হাসান (পেটুয়া)
দৈর্ঘ্য : প্রস্থের অনুপাত:১০:৬/৫:৩:১
পতাকা বিধি প্রণীত:১৯৭২ সালে
পতাকা গৃহীত:১৭ জানুয়ারি, ১৯৭২
পতাকা দিবস:২মার্চ
পতাকার রং:২টি; লাল ও সবুজ। (পতাকার মাঝের লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হলো ৫ ভাগের ১ ভাগ।)
প্রথম উত্তোলন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনে এক ছাত্রসভায়; ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব।
স্বাধীন দেশে পতাকা ১ম উত্তোলন:২ মার্চ, ১৯৭১ সালে। 
পতাকার সাথে মিল: জাপানের
বিদেশি মিশনে প্রথম উত্তোলন: লন্ডনে

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে একটি লাল বৃত্ত। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০:৬। পতাকাটির লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হলো পতাকাটির দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ।

পতাকাটির ডিজাইনার হলেন কামরুল হাসান (পেটুয়া)। ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে এটিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি প্রতীক। সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, লাল রঙ উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক।

পতাকাটি প্রথম উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনে এক ছাত্রসভায়। ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব পতাকাটি উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে প্রতি বছর ২ মার্চকে পতাকা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতীক। এটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও গৌরবের।

আরও পড়ুনঃ Noipunno মোবাইল অ্যাপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন যেভাবে

বাংলাদেশ সরকারের সীল মোহর বা লোগো

দেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সরকারের যে লোগো বা মনোগ্রাম ব্যবহৃত হয় সেটিই বাংলাদেশ সরকারের সীল মোহর বা লোগো নামে পরিচিত। এর ইংরেজি নাম Government Seal of Bangladesh.

এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান অফিসিয়াল লোগো হিসেবে এটিই ব্যবহার করে। সরকারি বিভিন্ন নথিপত্রে এটি দেখা যায়।

প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশের লোকজন বিভিন্ন সার্চ মিডিয়া বাংলাদেশ লোগো (Bangladesh Logo PNG) লিখে সার্চ করে। অসংখ্য ডিজাইন রয়েছে এটির। তাই সঠিক এবং সরকার স্বীকৃত আসল লোগোটি চিহ্নিত করার জন্য এখানে বাংলাদেশ সরকারের সীল মোহর বা লোগো (Bangladesh Govt Logo PNG, JPG, AI) ফরম্যাটে শেয়ার করা হলো।

নাম:বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
ইংরেজি নাম:Government Seal of Bangladesh
মনোগ্রামের ডিজাইনার:এএনএ সাহা
মনোগ্রামে তারকাচিহ্ন:৪টি
Download PNGDownload Vector

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামটি একটি লাল বৃত্তের মধ্যে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের উপরের দিকে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, নিচে লেখা ‘সরকার’ এবং বৃত্তের দুপাশে দুটি করে মোট ৪টি তারকা।

মনোগ্রামের ডিজাইনার হলেন এএনএ সাহা। তিনি একজন বাংলাদেশী শিল্পী ও চিত্রশিল্পী। ১৯৭২ সালের ২রা মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি এই মনোগ্রামটি ডিজাইন করেন।

মনোগ্রামের লাল বৃত্তটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতীক। হলুদ রঙের মানচিত্রটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রতীক। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ও ‘সরকার’ লেখাটি বাংলাদেশের সরকারের প্রকৃতি ও কর্তৃত্বের প্রতীক। চারটি তারকাচিহ্নটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ চারজন বীরশ্রেষ্ঠের প্রতীক।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামটি সরকারী পতাকা, পাসপোর্ট, স্ট্যাম্প ও অন্যান্য সরকারি নথিপত্রের উপর ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রিয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামটি একটি সুন্দর ও ঐতিহ্যবাহী নকশা। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও গৌরবের।

আরও দেখুনঃ ওয়েবসাইট ছাড়া গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকটিভ করার কৌশল

জাতীয় সংসদ ভবন

National Parliament Building বা জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশ ম্যাপ এ গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে আছে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র আইনসভা। এখান থেকেই দেশের সার্বিক নীতি নির্ধারিত হয় এবং দেশ পরিচালনার কার্যক্রম করা হয়।

স্থাপনার নাম:জাতীয় সংসদ ভবন
ইংরেজি নাম:Bangladesh National Parliament House
অবস্থান:শেরে বাংলানগর, ঢাকা
গুগল ম্যাপ লোকেশন:অবস্থান দেখুন
স্থপতি: লুই আই কান (মার্কিন)
উচ্চতা:৯তলা (১৫৫ ফুট) ভবন
মোট জায়গা: ২১৫ একর
ভিত্তিপ্রস্তর: আইয়ুব খান
উদ্বোধন: ২৮ জানুয়ারী ১৯৮২, রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি আব্দুস সাত্তার
জাতীয় সংসদের প্রতীক: শাপলা
সংসদে দর্শকের আসন সংখ্যা: ৪৩০টি
রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম ভাষণ: যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মার্শাল জোসেফ টিটো
পূর্ব বাংলার আইনসভা ছিল: জগন্নাথ হলে। 

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনটি একটি আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শন। এটি ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আইনসভা ভবন হিসেবে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৮২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রধান ভবন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

জাতীয় সংসদ ভবনটি নয়টি পৃথক ব্লক নিয়ে গঠিত। মূল ভবনের উচ্চতা ১৫৫ ফুট এবং আয়তন ১,০৫,০০০ বর্গফুট। ভবনের নকশা করেছেন বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান।

জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে রয়েছে সংসদ অধিবেশন কক্ষ, সংসদ সদস্যদের কার্যালয়, মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন কমিটির কক্ষ, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক অফিস।

সংসদ অধিবেশন কক্ষটি পরাবৃত্তাকার ছাদযুক্ত একটি সুন্দর কক্ষ। কক্ষটির ব্যাস ১১৭ ফুট এবং উচ্চতা ৫০ ফুট। কক্ষের চারপাশে রয়েছে ভিআইপিদের জন্য পোডিয়াম এবং দর্শকদের জন্য গ্যালারী। জাতীয় সংসদ ভবনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। এটি বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতিফলন।

সংসদ ভবনের কিছু বিশেষত্ব:

১. এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থাপত্য নিদর্শন।

২. এটি লুই আই ক্যানের ডিজাইনে নির্মিত।

৩. এটি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্মিত আইনসভা ভবন হিসেবে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

৪. ১৯৮২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রধান ভবন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

৫. জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে রয়েছে সংসদ অধিবেশন কক্ষ, সংসদ সদস্যদের কার্যালয়, মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন কমিটির কক্ষ, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক অফিস।

৬. সংসদ অধিবেশন কক্ষটি পরাবৃত্তাকার ছাদযুক্ত একটি সুন্দর কক্ষ।

৭. জাতীয় সংসদ ভবনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

জাতীয় সংসদ ভবনের গুরুত্ব

১. জাতীয় সংসদ ভবনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

২. এটি বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতিফলন।

৩. এটি বাংলাদেশের আইনসভার কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্রস্থল।

৪. এটি একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্থাপত্য নিদর্শন।

তথ্যসূত্র: বিসিএস ম্যাপ, সরকারি ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন বই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button