Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Tech Docs

অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট: Best Complete New On-Page SEO Guideline in Bangla

প্রিয় পাঠক, বাংলা ডকস এর আজকের আয়োজনে থাকছে অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট: সম্পূর্ণ নতুন গাইড লাইন। একটি লেখা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ সেটিকে যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানো। বর্তমানে প্রচলিত যতগুলো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে প্রায় সবগুলোই কিছু বেসিক এলগরিদম অনুসরণ করে একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কে র‌্যাংক করে।

যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইটের কোনো তথ্য সবার আগে গুগল বা বিং অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করাতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনার জন্য এখানে ১১ টি মৌলিক বিষয় এবং ৩টি বোনাস টিপস্ শেয়ার করবো।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে “যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য” শীর্ষক একটি কিওয়ার্ডে র‌্যাংক করা সাইটের নমুনা

আপনাদের জানিয়ে রাখি অন পেইজ এসইও এর মত অফ পেজ এসইও কি তা জেনে রাখা উচিত। Off page SEO কি ও কিভাবে কাজ করে জানতে টেকনিক্যাল এসইও কি এবং On page seo এবং technical seo এর মধ্যে মূল পার্থক্য কি সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য প্রকাশনাগুলো দেখুন SEO বিভাগে।

Contents

অন পেইজ এসইও

কোনো আর্টিকেল বা ব্লগ লেখার সময় সার্চ ইঞ্জিনকে গুরুত্ব বোঝানোর জন্য যেসকল মৌলিক বিষয় অনুসরণ করা হয় সেটাই অন পেইজ এসইও হিসেবে পরিচিত। সার্চ ইঞ্জিনগুলো বিশেষ করে গুগল প্রতিনিয়তই তাদের সার্চ পলিসিতে পরিবর্তন নিয়ে আসে।

পরিবর্তন যাই হোক বেসিক বিভিন্ন বিষয় বা পয়েন্ট কিন্তু একই থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই সকল অন পেইজ এসইও ঠিক রাখলে কনটেন্ট সর্বদাই র‌্যাংক করবে। তার সবকিছুই আজকে জানবো এখানে। এটি আটিকেল লেখার সেশন পরিকল্পনা করতে সহযোগিতা করতে আপনাকে।

অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট

অন-পেইজ এসইও হলো একটি বিশেষ পাতা বা কনটেন্টকে গুগলে র‌্যাংক করার কার্যক্রম। এরমধ্যে টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজ, ইউআরএল স্লাগ, হেডার ট্যাড ব্যবহার, এবং আরও অনেক কিছু।

সেমরাস অনুযায়ী অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট
SEMRUSH অনুযায়ী অন পেইজ এসইও চেক লিস্ট

এখানে অন পেইজ এসইও এর জন্য উল্লেখিত ১১ টি কাজ যেকোনটি আগে পিছে হলে সমস্যা নেই। পাঠকের সুবিদার্থে আরও ০৩ টি অতিরিক্ত টিপস্ আছে।

টার্গেট কিওয়ার্ডে আপনার কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে, ওয়েব সাইটে পেইজকে গুগল ফ্রেন্ডলি করতে এবং ওয়েবসাইটের ইউজার অন্তর্ভূক্তি বাড়াতো এগুলো সাহায্য করবে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ এসইও সম্পর্কে জানতে পারবেন এখান থেকে।

১. টার্গেট কিওয়ার্ড চিহ্নিত করা

প্রাসঙ্গিক সার্চ কুয়েরিগুলো অন-পেজ অপ্টিমাইজেশানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন কনটেন্ট রাইটার এর মূল লক্ষ্যই হলো রিলেভেন্ট সার্চ টপিকগুলো নিজের লেখা কনটেন্ট সার্চ রেজাল্ট পেইজে সবার উপরে দৃশ্যমান করানো যেন ইউজার সহজে কনটেন্ট খুজে পায়।

মানুষজন সার্চ ইঞ্জিনে কি খুঁজছে সেটি বের করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে করতে হয়। আপনি যে কনটেন্ট পাবলিশ করেছেন সেটি অনুসন্ধ্যানকারীকে দেখানোর জন্য পাঠকের প্রশ্নগুলো বা টপিকগুলো কি হতে সেটি বের করা বেশ জরুরি।

বর্তমানে অনেকগুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল আছে যেগুলো এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে এবং সময় বাঁচাবে। SEMRUSH কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কাজে অনেকটাই দক্ষ্য এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে।

এছাড়াও অন পেইজ এসইও করতে আরও বেশ কিছু ফ্রী এবং পেইড টুল আছে। আমরা ক্রমান্বয়ে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমাদের সাথে থাকুন।

কনটেন্ট কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে সে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত সেটি সংক্ষেপে জেনে নিন-

ক. কিওয়ার্ড সার্চ ইনটেন্ট (Search Intent)

কিওয়ার্ড সার্চ ইনটেন্ট (Search Intent) হলো ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে ঠিক কারণে কোনো একটি নির্দিষ্ট টপিক খুঁজছে তার কারণ। মনে করুন, কেউ একজন গুগলে সার্চ করছে “best dog food” বা “বাচ্চাদের জন্য সেরা খাবার”।

তাহলে তিনি অবশ্যই অন্য কোনো পণ্যের পেইজে প্রবেশ করবে “best dog food” সংক্রান্ত আর্টিকেল ছাড়া। (আপাতত এখন না) কারণ তিনি পশু খাদ্য খুঁজছেন। আপনার কনটেন্টটি যদি উনার সার্চ কুয়েরি সংক্রান্ত হয় তাহলে তিনি প্রবেশ করতে পারেন।

এখানে অনুসন্ধানকারী “dog food” কেনার জন্য গবেষণা করছেন। এ কারণে এটিকে বলা হয় কমার্সিয়াল ইনটেন্ট। এবং আমরা কনটেন্ট লেখার জন্য আমরা এটিকে টার্গেট করতে পারি।

যেহেতু কনটেন্ট লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন- গুগল, বিং)-এ ইউজারের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে নিজের কনটেন্ট-কে র‌্যাংক করা তাই সার্চ ইনটেন্ট সঠিকভাবে বুঝতে পারা সার্চ রেজাল্ট পেইজে টপে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় অন পেইজ এসইও এর এই অপশনটি।

এর গুরুত্ব এবং বিস্তারিত জানতে Search Intent কি এবং কিওয়ার্ড সার্চ ইনটেন্ট পড়ে নিন। আশা করছি আপনার জ্ঞান আরও তিক্ষ্ণ হবে।

কিওয়ার্ড সার্চ ইনটেন্ট (Search Intent)
ছবি: কিওয়ার্ড সার্চ ইনটেন্ট (Search Intent) ওভারভিউ

খ. কিওয়ার্ড সার্চ ভলিওম (Keyword search volume)

কোনো একটি বিষয়ে কত পরিমাণ ইউজার সার্চ টুলে সার্চ করতে সেই পরিমাণই হলো কিওয়ার্ড সার্চ ভলিওম (Keyword search volume) এটিকে মাসিক এভারেজ সার্চ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বেশি সার্চের টপিকে কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তবে, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে। যেগুলো বেশি সার্চ হয় সেগুলোতে বেশি সংখ্যক ওয়েবসাইট থাকে। তাই সঠিকভাবে কনটেন্ট না লিখলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়।

গ. কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বা KD

নির্ধারিত কিওয়ার্ডে কাজ করলে গুগল সার্পের টপে ১০ টি আনপেইড সার্চ রেজাল্ট হিসেবে স্থান করে নেওয়া কতটা কঠিন সেটাকেই কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বা KD বলে। অন পেইজ এসইও এটিকে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত পয়েন্টে নির্ধারণ করা হয়।

কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বা KD ১ হলে সেটি র‌্যাংক করা সহজ এবং ১০০ হলে তুলনামূলক কঠিন হিসেবে ভাবা হয়। মনে করুন, আপনি ফুলের দোকানের মালিক। তাহলে, “নীল ফুল” হিসেবে আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাংক করানো সহজ হবে। কারণ এর কেডি ১০/১৫;

যেসকল কিওয়ার্ড মাসিক সার্চ ৫০ হাজারের উপরে এবং কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ৬৩% তাহলে এই টপিকে কনটন্টে র‌্যাংক করা রাইটার এর জন্য অনেক কঠিন হবে।

অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট - কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বা KD,

সর্বোপরি, সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে তথ্যমূলক আর্টিকেলগুলো সব থেকে বেশি প্রাধান্য পায়। এর মানে হলো বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ”নীলফুল” সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন যদিও কেনাকাটা করবেন না। 

তাই যদি আপনি ফুলের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নীল ফুল কিওয়ার্ড আপনার জন্য  প্রযোজ্য নয়। আপনি সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে সেরা কিওয়ার টার্গেট করতে পারেন।  তারপর যথাযথভাবে আপনার কনটেন্ট অপটিমাইজ করে নিতে পারবেন। 

২. টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজ করা – Optimize the Title Tag

টাইটেল ট্যাগ হল কনটেন্টের শিরোনাম যা গুগল সার্চ রেজাল্ট এ প্রদর্শন করে এবং তথ্য অনুসন্ধানকারী কে কন্টেন্টের প্রবেশ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। 

বিং বা গুগল সার্চ রেজাল্টে টাইটেল ট্যাঙ্ক নিচের ছবির মত প্রদর্শন করে

ছবি: অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট (সার্পে টাইটেল ট্যাগ প্রদর্শনের নমুনা)

টাইটেল ট্যাগ অন পেজ এসি অপটিমাইজেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সুতরাং অবশ্যই প্রাথমিক কিওয়ারটি (মূল সার্চ টার্ম যেটা দিয়ে কনটেন্ট রেঙ্ক করানোর ইচ্ছা) টাইটেল এর শুরুতে থাকতে হবে। 

আপনি আরেকটি সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড যোগ করতে পারেন তবে অবশ্যই অস্বাভাবিক কিওয়ার্ড স্টাফিং এড়িয়ে চলতে হবে। এটা সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারের কাছে স্পামী মনে হতে পারে।

টাইটেল ট্যাংকিং ৫০ থেকে ৬০ বর্ণের মধ্যে রাখতে হবে এবং প্রতিটি শব্দের মধ্যে  ফাঁকা বা স্পেস রাখতে হবে। কারণ গুগল বড় টাইটেল গুলোকে নিজ থেকেই ছোট করে ফেলে।

৩. হেডলাইন বা টাইটেলকে H1 ট্যাগ ব্যবহার করা

প্রত্যেকটি পেইজে হেডলাইন কে H1 ট্যাগের ব্যবহার করা উচিত। ওয়ান পেজ এসইও চেক লিস্টের মধ্যে সবচেয়ে সিম্পল কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ;

H1 কন্টেন্টের টাইটেল ট্যাগ থেকে আলাদা কারণ এটি আপনার কনটেন্ট এ প্রদর্শন করবে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে নয়। 

এই ট্যাগ আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে গুগল এবং ব্যবহারকারীদের ধারণা প্রদান করে তাই এটি টাইটেল এর সাথে একই রাখা উচিত। 

যদিও এইচওয়ান ট্যাগে অক্ষর ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নেই  তারপরও এটি দেয়ার সময় আপনার কনটেন্টের মূল বিষয়কে প্রকাশ  করুন যা ভিজিটর কে কন্টেন্ট করতে আগ্রহী করে তোলে। এখানে অবশ্যই আপনার প্রাথমিক কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করবেন।

৪. ক্লিক বৃদ্ধি করার জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার

মেটালেসক্রিপশন হলো একটি পেইজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ যেটা সার্চ ইঞ্জিনে টাইটেল ট্যাগের নিচেই প্রদর্শন করে।  নিজের ছবিতে একটি নমুনা দেয়া হলো। 

মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়।  এটি অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট On Page SEO optimization check list এর একটি অংশ কারণ আকর্ষণীয় মেটা ডেসক্রিপশন ক্লিক বাড়িয়ে দেয়। 

অনুসন্ধানকারীকে আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়ার জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই এখানে আপনার কনটেন্ট এর প্রাথমিক কীওয়ার্ড সংযুক্ত করবেন। 

গুগল সার্চ ইঞ্জিন প্রায় অনুসন্ধানকারীর প্রশ্নকে বা কুয়েরিকে সার্চের রেজাল্টে মেটা ডিসক্রিপশনে বোল্ড করে দেখায়। তাই এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে সাইটে ভিজিটের পাওয়ার সম্ভাবনা পারে।

নোট: গুগল ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আপনার পেইজের টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন কে নিজের মতো করে প্রদর্শন করতে পারে। তাই অন পেইজ এসইও অপটিমাইজেশন এর সময় সঠিকভাবেই টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করতে পারলে এর ঝুঁকি অনেকাংশই কমানো যায়।

আমি আপনাকে স্পেসসহ মেটাডেসক্রিপশন সর্বোচ্চ ১২০ বর্ণের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিব।  এতে গুগল শার্পের মোবাইল এবং ডেক্সটপ ভার্সনের দুটোতেই  ছেঁটে ফেলার ঝুঁকি কমায়।

৫. এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল ব্যবহার

অন পেইজ এসইও অপটিমাইজেশন এর মধ্যে এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ইউআরএল স্লাগ হল ইউআরএলের এমন একটি অংশ যা কনটেন্ট এর জন্য আলাদা হয়ে থাকে। 

নিচের ছবিতে কনটেন্ট ইউ আরএলএর একটি নমুনা দেখানো হলো। 

ছবি: কনটেন্ট এর ইউআরএল এর নমুনা

ইউআরএল স্লাগ সংক্ষিপ্ত, পরিষ্কার এবং বর্ণনামূলক হওয়া উচিত। এখানে কনটেন্ট ইউআরএল স্লাগ ব্যবহারের বিষয়ে কিছু টিপস শেয়ার করা হলো। ব্যবহার করার সময় এগুলো মনে রাখবেন।

১. ইউআরএল স্ল্যাক হিসেবে কনটেন্টের প্রাথমিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন;

২. শব্দগুলোকে হাইফেন দ্বারা আলাদা করুন

৩. ইউ আর এল ব্যবহার করার সময় সাল ব্যবহার করার থেকে বিরত থাকুন; (যেমন- সেরা-ফুটবল-খেলেয়ার-২০২৩ এর পরিবর্তে শুধু “সেরা-ফুটবল-খেলোয়ার” ব্যবহার করুন। 

৪. যদি কখনো আপনি ইউআরএল চেঞ্জ করেন তাহলে পূর্বের ইউআরএলটি রিডাইরেক্ট করে দিবেন। 

এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে জানতে আমাদের এসইও ফ্রেন্ডলী ইউআরএল ব্যবহার কৌশল সংক্রান্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।

৬. কনটেন্ট বডিতে টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহার

গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিওয়ার্ড এবং কোন প্রসঙ্গে আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে তার বিবেচনায় ঠিক করে কোন পেইন বিশেষ কোনো কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত কিনা। যদি কনটেন্ট বডিতে টার্গেট কিওয়ার্ড না থাকে গুগল ভেবে নেয় এই পেজটি ঐ কিওয়ার্ডের জন্য প্রযোজ্য নয়। 

কনটেন্টের অন পেইজ এসইও অপটিমাইজেশন করার সময় প্রাথমিক কি ওয়ার্ড প্রথম প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে অবস্থান নিশ্চিত করবেন  এবং তারপর পুরো কনটেন্টের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে টার্গেট কিওয়ার্ড পুনরাবৃত্তি করবেন। এর মাঝে কনটেন্টের রিলেটেড অন্যান্য সেকেন্ডারি কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। 

তবে অবশ্যই কিওয়ার্ড স্টাফিং করা থেকে বিরত থাকবেন। অপ্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার কনটেন্টের কোয়ালিটি নষ্ট করতে পারে এবং তার স্বতন্ত্রতা হারাবে। গুগল কিওয়ার্ড স্টাফিং কে পাম পলিসিতে ভায়োলেশন হিসেবে বিচার করে। 

তাই কীওয়ার্ড স্টাফিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন তাতে আপনার পলিসি ভায়োলেশনের কোন ভয় থাকবে না। একটি নমুনা কিওয়ার্ড স্টাফিং এর ছবি নিচে দেয়া হল;

মনে রাখতে হবে আপনি ইউজারের জন্য লিখছেন কোন সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়। নিচের ছবিতে গুগলের টপ রান করা একটি আর্টিকেলের নমুনা লক্ষ্য করুন তারা কিভাবে টার্গেট কিওয়ার্ড কন্টেন্টের মধ্যে ব্যবহার করছে। 

৭. কনটেন্ট কোয়ালিটি পর্যালোচনা

আপনার কনটেন্ট কেমন হবে তা বেশিরভাগ নির্ভর করে সার্চ ইনটেন্ট এর উপর। উদাহরণস্বরূপ, কোন পণ্য কেনাকাটার জন্য সংক্ষিপ্ত বর্ণনা কাউকে হয়তো সন্তুষ্ট করতে পারে।  কিন্তু কেউ আছে যে হয়তো বিস্তারিত গাইডলাইন চায়। 

যেভাবেই হোক আপনার কনটেন্ট অবশ্যই সার্চ রেজাল্ট পেইজে প্রতিযোগিতা করতে এবং ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করতে সর্বোচ্চ মানের হতে হবে। এজন্যই আপনি যখন অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট দেখবেন তখন আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি পর্যালোচনা বা রিভিউ করে নিতে হবে। 

এখানে একটি কনটেন্টের প্রধান কিছু কোয়ালিটি ইন্ডিকেটর উল্লেখ করা হলো যাতে অন পেইজ এসইও সহজ হবে-

কোয়ালিটি ইন্ডিকেটর বেস্ট প্রাকটিস 
সঠিকতা (Accuracy)কন্টেন্ট সঠিক, আপডেট, যতটা সম্ভব বানান এবং ব্যাকরণগত ত্রুটিমুক্ত হওয়া উচিত। 
মৌলিকতা (Originality)সাইটের কনটেন্ট অবশ্যই অরিজিনাল এবং ইউনিক হওয়া উচিত। একই কন্টেন্ট এর কোন বিশেষ অংশ বা বড় অংশ বারবার পুনরাবৃত্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
এবং অন্য কোন সাইট থেকে তথ্য নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এতে গুগলের প্লাগারিজম পলিসিতে পড়তে পারে। 
প্লাজারিজম কি এবং কিভাবে প্লাজারিজম থেকে বাঁচবেন তা জানতে এটি পড়ে নিন। 
কনটেন্ট দৈর্ঘ্য (Length)যদিও অল্প কথায় গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দেয়া যেতে পারে তবে সকল ব্যবহারকারীর সার্চ ইনটেন্ট এর কথা মাথায় রেখে কন্টেন্ট বিস্তারিত লিখতে হবে। 
অনুসন্ধানকারীর প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য কন্টেন্টের মধ্যে সরবরাহ করা উচিত। 
কনটেন্ট এর দৈর্ঘ্য ১৫০০ থেকে ৩০০০ শব্দের মধ্যে রাখুন। 
পঠনযোগ্যতা (Readability)আপনার লেখাটি পড়তে খুব কঠিন হলে পাঠক আপনার সাইট থেকে বা কনটেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
যথা সম্ভব সহজ শব্দ এবং সহজে বোধগম্য আর্টিকেল লিখলে সেটি গ্রাহকের এংগেজমেন্ট অনেক বৃদ্ধি করে দেয়। 
সব ধরনের পাঠকের পঠনযোগ্য করে আর্টিকেল লেখা উচিত। 
ফরম্যাটিং (Formatting)অনুচ্ছেদ বিরতি, উপশিরোনাম, টেবিল, বুলেট পয়েন্ট এবং অন্যান্য বিন্যাস উপাদান আপনার পাঠ্যকে আরও আকর্ষক করে তুলতে পারে।
কণ্ঠস্বর (Tone of voice)কনটেন্ট এর ভেতর টনক ভয়েস ঠিক রাখুন। আপনার পাঠক কোন ধরনের টোন পছন্দ করে তার ভিত্তিতে আর্টিকেল লিখতে হবে। 
অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট কোয়ালিটি ইন্ডিকেটর 

৮. টাইটেল ট্যাগ সহ সাব হেডিং ব্যবহার

২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে সারপে টপে থাকা হাইফার ফর্মিং আর্টিকেলগুলো মধ্যে ২৯ শতাংশ H2, H3, এবং H4 ট্যাগ ব্যবহার করে। 

সাব হেডিং প্যারাগ্রাফ গুলোকে বাট টেক্সটকে ভেঙে দেয় এবং ব্যবহারকারীকে আপনার কনটেন্টের বিভিন্ন বিষয়ে বোদগম্য করতে সহযোগিতা করে। এবং উপযুক্ত এইচ-ট্যাগ (হেডার ট্যাগ) Google কে আপনার পৃষ্ঠার গঠন বুঝতে সাহায্য করে।

আপনার কনটেন্টে একটি h1 হেডার থাকা উচিত কিন্তু প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এবং কন্টেন্টের গভীরতা অনুসারে আপনি হ্যা হেডিং ব্যবহার করতে পারেন এতে অন পেইজ এসইও অপটিমাইজ হবে।

কনটেন্ট এ সাব হেডিং এর ব্যবহার নিচের ছবির মত অনুক্রম সিস্টেম হিসেবে কাজ করে-

টিপস: অন পেইজ এসইও করতে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে স্বাভাবিকভাবে সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড ব্যবহার সাব হেডিং হিসেবে ব্যবহার করুন।

৯. ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার করে নেভিগেশন উন্নত করা

ইন্টার্নাল লিংক হল সাইটের একটি কন্টেন্টের থেকে অন্য কনটেন্ট এ যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত লিংক। এর মাধ্যমে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এবং ইউজারদের অন্য কনটেন্ট খুঁজে পেতে সহযোগিতা করে। 

মনে করুন আপনি ফুলের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় সেই সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল লিখলেন। এখানে আপনি চাইলে ফুলের পরিচর্যা করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সামগ্রির লিংক ব্যবহার করতে পারেন যাতে ইউজাররা ফুলের পরিচর্যা করতে গিয়ে তাদের যা যা প্রয়োজন হবে সেটি আপনার সাইট থেকে কিনে নিতে পারে। 

ইন্টার্নাল লিংকগুলো এংকর টেক্সট ব্যবহার করে সংযুক্ত করার বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন। এখানে ক্লিক করুন বা ক্লিক হিয়ার ধরনের কোন টেক্সট লিখে ইন্টারনাল লিংক দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

এঙ্কর টেক্সট দিয়ে ইন্টার্নাল লিংক দিলে গুগল এবং ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারে সংযুক্ত পেজটির কোন সম্পর্কে লেখা হয়েছে। 

গুরুত্বপূর্ণ টিপস: তথ্য মূলক কনটেন্ট এ নিয়ে যদি কাজ করেন তাহলে অবশ্যই এক্সটার্নাল লিংক বা তথ্যপ্রাপ্তির  উৎস সংযুক্ত করার বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। এটিও অন পেইজ এসইও অপটিমাইজেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। হাই কোয়ালিটি রিসার্চ ইন্টারনেট হিসেবে ব্যবহার করলে google এবং ব্যবহারকারীরা ধারণা করে আপনি পর্যাপ্ত গবেষণা করে আর্টিকেলটি লিখেছেন।

অন পেইজ এসইও টিপস

১০. রিলেভেন্ট এবং আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও ব্যবহার

কনটেন্টকে আকর্ষণীয় এবং এড করার জন্য উপযুক্ত ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন। ভিজুয়াল কন্টিনেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে ফটো, চিত্র, কিভাবে করতে হবে তার ভিডিও এবং আরো অনেক কিছু। 

SEMRUSH Research এ দেখা গেছে যে সকল আর্টিকেলে পর্যাপ্ত ছবি এবং ভিডিও থাকে সেগুলো অনেক বেশি ইউনিক পেজ ভিউ, শেয়ার এবং ব্যাক লিঙ্ক পায়।

নিচের ছবিতে অন পেইজ এসইও পর্যাপ্ত ইমেজ এবং ভিডিও সমৃদ্ধ কনটেন্ট এবং ইমেজ ও ভিডিও ছাড়া কন্টেন্ট এর মধ্যে ট্রাফিক পাওয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো;

কোন টেক্সটকে ব্রেক করার জন্য উপযুক্ত স্থানে ছবি অথবা ভিডিও ব্যবহার করা উচিত। এতে পঠন যোগ্যতা এবং গ্রাহক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়। 

কনটেন্ট এর ভেতর ছবি এড করার কিছু টিপস:

১১. রিলেভেন্ট এবং আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও ব্যবহার

কনটেন্টকে আকর্ষণীয় এবং এড করার জন্য উপযুক্ত ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন। ভিজুয়াল কন্টিনেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে ফটো, চিত্র, কিভাবে করতে হবে তার ভিডিও এবং আরো অনেক কিছু অন পেইজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।  

SEMRUSH এর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল আর্টিকেলে পর্যাপ্ত ছবি এবং ভিডিও থাকে সেগুলো অনেক বেশি ইউনিক পেজ ভিউ, শেয়ার এবং ব্যাক লিঙ্ক পায়।

নিচের ছবিতে পর্যাপ্ত ইমেজ এবং ভিডিও সমৃদ্ধ কনটেন্ট এবং ইমেজ ও ভিডিও ছাড়া কন্টেন্ট এর মধ্যে ট্রাফিক পাওয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো;

কোন টেক্সটকে ব্রেক করার জন্য উপযুক্ত স্থানে ছবি অথবা ভিডিও ব্যবহার করা উচিত। এতে পঠন যোগ্যতা এবং গ্রাহক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়। 

অন পেইজ এসইও হিসেবে কনটেন্ট এর ভেতর ছবি ও ভিডিও যুক্ত করার টিপস

ক. প্রত্যেক ছবিতে কনটেন্ট সম্পর্কিত বর্ণনামূলক অল্টারনেটিভ টেক্সট ব্যবহার করুন। অল্টারনেটিভ টেক্সট গুগলকে ছবিটি সম্পর্কে ধারণা দেয়। 

খ. বড় সাইজের ছবি সাইটের লোডিং স্পিড কমিয়ে দিতে পারে তাই অবশ্যই ছবিগুলোকে রিসাইজ করে কমপ্রেস করে ব্যবহার করতে হবে। ইমেজের সাইজ যত কম হবে হাইটের লোডিং স্পিড তত বাড়বে এবং সাইট স্লো হবে না। ইমেজ কম্প্রেস করার জন্য BIRME অন্যান্য ইমেজ কম্প্রেসন টুল ব্যবহার করতে পারেন।

গ. সার্চ ইনটেন্ট এর সাথে মিল রেখে ভিডিও তৈরি করুন। যেমন কোন কিছু কিভাবে করবে সেটি বোঝানোর জন্য একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন। 

ঘ. ভিডিও সব সময় ইউটিউবে পোস্ট করুন।  কারণ ইউটিউব গুগল সার্চের পর সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউব থেকে ভিডিও এমবেড করে ব্যবহার করুন। 

অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন আরো সমৃদ্ধ করতে ইমেজ এসইও এবং ভিডিও এসইও করার পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন। এতে গুগল সার্পে আপনার র‌্যাংক করার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

১২. স্কিমা মার্কআপ প্রয়োগ

স্কিমা মার্ক আপ বা স্ট্রাকচারড ডাটা হলো এক ধরনের কোডিং ভাষা যা গুগলকে কনটেন্টের ধরন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। গুগল যদি আপনার কনটেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলে সে অনুসন্ধানকারীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আপনার কনটেন্টকে রেংক করাবে। 

স্ট্রাকচার্ড ডাটা বা স্কিমা মার্কআপ ব্যবহার করার জন্য গুগলের রেজাল্ট বা রিচ স্নাইপড সংক্রান্ত একটি টুল রয়েছে যা ব্যবহার করে সহজেই এই কাজটি করা যায় এবং Rich Results Test করে যাচাই করা যায়।

গুগল এখন পর্যন্ত ৩২ ধরনের স্ট্রাকচার ডাটা সাপোর্ট করে। এর মধ্যে রয়েছে  আর্টিকেল,  ইভেন্ট,  এফ এ কিউ,  হাউ টু,  প্রোডাক্ট,  লোকাল বিজনেস, প্রভৃতি। 

গুগল স্ট্রাকচার্ড ডাটা এবং রিচ রেজাল্ট স্কিমা ব্যবহার করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে কন্টেন্টে এপ্লাই করুন এতে অন পেইজ এসইও স্কোর বাড়বে এবং সারপে আপনার সফলতা বাড়বে।

এটি অন পেইজ এসইও চেক লিস্টের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাডভান্স কাজ। কনটেন্টে সঠিকভাবে স্কিমা করতে গুগলের স্ট্রাকচার্ড ডাটা মার্কআপ হেল্পার এর সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।

বোনাস: টেকনিক্যাল এসইও

যদিও টেকনিক্যাল এসইও অন পেইজ এসইও থেকে ভিন্ন।  গুগলের রেংক করার জন্য আপনাকে দুটোই ভালোভাবে জানতে হবে। টেকনিক্যাল এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় সেটি জেনে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

এখানে তিনটি টেকনিক্যাল এসইও টিপস্ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো যা আপনার কনটেন্ট রেঙ্ক করতে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করবে। 

১. গুগল সার্চ কন্সেলে পেজ ইনডেক্স হওয়ার নিশ্চিত করা

আপনার কনটেন্টটি প্রদর্শন করার জন্য প্রথমে এটি google সার্চ কনসোলে ইনডেক্স করতে হবে। গুগল ওয়েব ক্রলার প্রথমে আপনার সাইট ক্রল করে কনটেন্ট ইনডেক্স করবে। আপনি গুগলের ওয়েবমাস্টার তুলে গিয়ে আপনার কনটেন্ট ইনডেক্স হয়েছে কিনা সেটি যাচাই করে নিতে পারবেন। 

যদি আপনি ইতোপূর্বে টুলটি ব্যবহার না করেন তাহলে গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের বিস্তারিত গাইডলাইন দেখে নিন এটি আপনাকে সেটআপ করতে সহযোগিতা করবে। 

ছবি: গুগল সার্চ কনসোল এর পেইজ ইনডেক্স হওয়ার চিত্র (অন পেইজ এসইও চেক লিস্ট)

যদি আপনার কনটেন্টি ইনডেক্স না হয় তাহলে দ্রুত কনটেন্ট ইনডেক্স করার পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে ইনডেক্স করিয়ে নিন। 

২. পেইজ লোডিং স্পিড বৃদ্ধি

ইউজার এবং google চায় কোন পেইজ দ্রুত লোড হোক। কোন পেজ লোড হতে দেরি হলে ভিজিটর বেরিয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে ভিজিটর আর নাও আসতে পারে। 

কিছু বিশেষ কারণে পেজ লোডিং স্পিড কমে যেতে পারে।  তার মধ্যে অন্যতম অনেক বেশি এইচটিএমএল ব্যবহার,  রিডাইরেক্ট চেইন,  বেশি জাভাস্ক্রিপ্ট অথবা সিএসএস  ফাইল ব্যবহার। 

গুগল পেজ স্পিড ইন সাইড টুল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড যাচাই করে নিতে পারবেন।  সেখানে এনালাইজ বাটনে ক্লিক করে ডেক্সটপ এবং মোবাইল ভার্সনে আপনার ওয়েবসাইট কত দ্রুত লোড হচ্ছে বা কি কি কারণে ওয়েবসাইট স্লো করছে সেটি দেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিন। 

ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে আপনার সাইটকে গুগল এবং ব্যবহারের কারীর কাছে উন্নত হিসেবে প্রদর্শন করুন এতে র‌্যাংক পরিমাণ বাড়বে। 

৩. কনটেন্ট পেজকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা

বর্তমানে ৬০ শতাংশের বেশি সার্চ মোবাইল থেকে হয়ে থাকে। এইজন্য কোন কনটেন্টকে র‍্যাঙ্ক করার ক্ষেত্রে গুগল মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেজকে প্রথমে গুরুত্ব দেয়। তাই আপনার সাইটকে অবশ্যই মোবাইলে আকর্ষণীয় ভাবে প্রদর্শনের জন্য তৈরি করুন এবং প্রয়োজনীয় অপটিমাইজ করে নিন। 

সারসংক্ষেপ

এখানে অন পেইজ এসইও চেকলিস্ট দেওয়া হলো যাতে আপনার কনটেন্ট গুগল সহ অন্যন্য সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানো সহজ হয়। আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদের পেইজে নিয়মিত চোখ রাখুন। আমরা ক্রমান্বয়ে অন পেইজ এসইও নিয়ে সব কিছু কাভার করার চেষ্টা করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button